ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছে ৩১ হাজার ৬৪৩ জন। অন্যদিকে সিরিয়ায় মারা গেছে, পাঁচ হাজার ৭০০ জন। দেশ দুইটিতে ঘটনার সাতদিন পরও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ভূমিকস্পে তুরস্ক-সিরিয়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সিরিয়া ও তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের অষ্টমদিনে এসেও ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহ বের করে আনছে উদ্ধারকর্মীরা। তবে প্রচণ্ড ঠান্ডার পাশাপাশি বৈরি আবহাওয়ায় ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

ভূমিকম্পে আহত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। হাসপাতালগুলোতে নেই নতুন রোগী ভর্তিও জায়গা। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্য সংকটও রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গেল সপ্তাহের মারাত্মক এই ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কটি হাসপাতালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস।

এদিকে, ১২৮ ঘণ্টা পর তুরস্কে ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এক শিশুকে। দু’মাস বয়সি ওই শিশু টানা ১২৮ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচেই চাপা পড়েছিল। সে বেঁচে থাকবে, আশা করেননি কেউ। কিন্তু এত মৃত্যুর মাঝে যেন সজোরে প্রাণের ঘোষণা করেছে এই শিশু। জীবিত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা গেছে। ধ্বংসস্তূপ সরতেই শিশুর কান্নার শব্দ পেয়ে আনন্দে হাততালি দিয়ে উঠে উদ্ধারকারীরা।

গত সোমবার সকালে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। ভেঙে পড়ে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক দেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।